আনোয়ারায় পরিবহন সেবা, হত – দরিদ্রদের ত্রাণ ও অসহায়দের পাশে থেকে এম এ রশিদ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন

আনোয়ারা প্রতিনিধি
বলো কি তোমার ক্ষতি জীবনের অথৈ নদী পার হয় তোমাকে ধরে দুর্বল মানুষ যদি। মানুষ যদি সে না হয় মানুষ. দানব কখনো হয় না মানুষ, যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ, লজ্জা কি তুমি পাবে না..ও বন্ধু।বিখ্যাত গানটি ভুপেন হাজারিকার।অনেক মানবতাবাদী মানুষের প্রিয় গান এটি।এই গানটি কেন ভুপেন হাজারিকা কার কী কাজের জন্য অনুপ্রাণিত হয়ে গেয়েছিলেন জানি না।তবে প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাস COVID-19 সংক্রমণ প্রতিরোধে যখন পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে দূর্বল মানুষগুলো যখন অসহায় ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে তখন তাদের পাশে দাড়িয়েছে এম এ রশিদ। নিজ গাড়ী দিয়ে এম এ রশীদ প্রতিদিন আনোয়ারার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন রোগীদের বিভিন্ন মেডিকেলে পরিবহন সুবিধা দিয়ে আসছেন।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জ্বালানী খবচ করে নিজ গাড়ী দিয়ে এভাবে মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ এম এ রশিদ।এইসব কারণে যখন তার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে তখন তারই দেখাদেখি আনোয়ারার বিভিন্ন গ্রামে আরো কয়েকজন পরিবহন সুবিধা দিচ্ছে।যা আনোয়ারাবাসীর জন্য সত্যিই একটি ভালো খবর।
আনোয়ারাতে প্রতিদিনকার মত গতকালও ব্যাতিক্রম ছিলনা এম এ রশিদের। বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের শফি আলমের ফোনে এম এ রশীদ কে জানান তার স্ত্রী ডেলিভারি রোগী জান্নাতুল ফেরদৌসকে চট্রগ্রাম মেনন হাসপাতালে নিতে জবাবে এম এ রশীদ বললেন রোগী রেডি কর আমি আসচ্ছি।পরক্ষণেই তিনি দ্রুত মেডিকেলে নিয়ে যান । এইভাবে গত ১লা এপ্রিল থেকে তার এই কর্ম থেমে নেই।
অসহায়দের ত্রাণ প্রদান, স্বাসহ্য সেবা ও দূর্বল মানুষের পাশে থেকে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মুখ উজ্জ্বল করল আনোয়ারা থানা আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ।আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ মহান নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ঘোরসমর্থক ছিলেন।নিজ ইউনিয়ন ও গোটা আনোয়ারায় তিনি সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।অন্যদিকে অনেক ক্ষমতাসীন দলের নেতা পদ পদবী থাকলেও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে মহামারীর এইদিনেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকেননি।আনোয়ারার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকের সাথে কথা বলে
আমাদের অনুসন্ধানে এসব তথ্য ফুটে উঠেছে।
শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদতের পর ভোর ৫ টায় ফোন পান এম এ রশিদ। দ্রুত হাজির হল বারশত ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম চাল গ্রামে।ডেলিভারি রোগি শীল পাড়ার
জয়শ্রীকে নিয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে আসেন নিজ গাড়ীতে তিনি।
গত পরশু দুইজন ডেলিভারি রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে যাওয়ার পথে ৯ নম্বর পরৈকোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহাতা গ্রামের আনোয়ারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক জিএস আলমগীর হঠাৎ করে ফোন করে বলে ওর মা স্ট্রোক করেছে, তখন তাকে সান্ত্বনা দেন এবং অপেক্ষা করতে বলেন এবং জানান আমি মেডিকেলে দিকে যাচ্ছি মেডিকেল থেকে ফিরে তোমার বাড়িতে আসছি।তিনি মেডিকেল থেকে সোজা চলে যান সেখানে ।সেখানে গিয়ে দেখলে্ন ইতিমধ্যে ওখানে ৯ নং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সেক্রেটারিসহ অনেকেই উপস্হিত।সময়ক্ষেপন না করেই আবার গাড়িতে করে ওই রোগীকে মেডিকেলে নিয়ে যায়।এভাবে
এম এ রশিদ আনোয়ারা টু শহর ও শহর টু আনোয়ারাতে রোগী আনা নেয়াতে এই মহা দূর্ভিক্ষেও মানুষের জন্য লড়ছেন।যা সত্যি মানবিকতাকে উৎকর্ষ ও শাণিত করে।দস্তুরমতো রোগীদের ফোনের জন্য তিনি যেন অপেক্ষা করছেন।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পরিবহন সংকটে বিনা ভাড়ায় প্রতিদিন অসুস্থ রোগী বহনের জন্য একটি মাইক্রো গাড়ি রেডি রেখেছেন তিনি।
এদিকে ইতিমধ্যে এম এ রশিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন অসহায় মানুষ জনের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন । আনোয়ারা উপজেলার দক্ষিণ বন্দর,পশ্চিমচাল ও খলিফাপাড়া এলাকায় ৪৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।জানা গেছে, ত্রাণের প্রতিটি প্যাকেটে পাঁচ কেজি চাল,দুই কেজি আলু,এক কেজি আটা,এক কেজি ডাল,এক কেজি পেঁয়াজ,এক লিটার তেল ও একটি সাবান রয়েছে।অনেককে গোপনেও নগদে সহযোগিতা করেন তিনি।
পাশাপাশি স্থানীয় উত্তর পশ্চিমচাল জামে মসজিদের মুসল্লিদের জন্য ৬টি হ্যান্ডওয়াশ বসিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া মাক্সও দিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষকে।
এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধির সাথে মুঠো ফোনে এমএ রশিদ বলেন, মানুষের বিপদে পাশে থাকার সময় এখনই।আমাদের দেশসহ সারা দুনিয়াতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে।অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে অভাবে পড়ছে।তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আমি মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। আওয়ামী লীগের কর্মীরা দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকে ।বাবু মিয়া আমাদের সেই শিক্ষায় দিয়েছেন।