সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি তাঁদের ভুলত্রুটি ধরতে চেষ্টা করা কুফুরি

খোলাফায়ে রাশেদাসহ সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি তথা মেয়ারে হক্ব। তাঁদের শান মর্যাদায় আঘাত হানা গোস্তাখি ও ঈমানহানিতার কারণ। তাঁরা ভুল ত্রুটি ও মানবীয় দুর্বলতার ঊর্ধ্বে। তাই সাহাবায়ে কেরাম বা শেরে খোদা মওলা আলীর (রা.) ভুল বিচ্যুতি খুঁজতে চেষ্টা করলে ঈমানহারা হতে হবে। হযরত আলীর মর্যাদা স্বয়ং সমুন্নত করেছেন মহান আল্লাহ পাক ও প্রিয় নবী (দ.)। যিনি ভুমিষ্ঠ হয়েছেন কাবা শরিফের ভেতরে। যিনি শিশু অবস্থায় চোখ খুলে প্রথমেই দেখেছেন প্রিয়নবীর (দ.) চেহারা। মওলা আলী (রা.) ৮/১০ বছর বয়সেই প্রিয়নবীর হাতে ইসলাম কবুল করেছেন। আরবে শিশুদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম কবুলকারী। যিনি প্রিয়নবীর (দ.) সান্নিধ্যে বড় হয়েছেন তিনি মদপান তো দূরের কথা, মদের পাত্রকেও তিনি ঘৃণা করতেন। কোনো ধরনের অপবিত্রতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) পবিত্রতা, মর্যাদা ও অতুলনীয় জীবনাচারের কথা তো কুরআন-হাদিসের ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায়। তাই তাঁদের ভুলত্রুটি ধরার চেষ্টা করা মারাত্মক কুফুরি।
গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে খাজা-এ-বাঙ্গাল ইমাম শেরে বাংলা (রহ.) সুন্নি ফাউন্ডেশন আয়োজিত আহলে বায়তে রাসূল (দ.) স্মরণে মওলা আলী (রাদ্বি.) কনফারেন্সে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ফয়েজলেক দারুল হুদা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরীকত আল্লামা শাহ বেলায়েত হোসেন আল-কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উদ্বোধক ছিলেন ছিপাতলি জামেয়া গাউছিয়া মুঈনিয়া কামিল মাদ্রাসার পীরেত্বরীকত অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। মেহমানে আলা ছিলেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বরুড়া লতিফিয়া দরবার শরীফের সাজ্জদানশীন মুফতি কাজী মুহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন লতিফি আলকাদেরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আল আমিন হাশেমী দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা কাযী মুহাম্মদ ছাদেকুর রহমান হাশেমী, ওষখাইন বিষু নূরীয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন মাওলানা মীর মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন নূরী সিদ্দিকী ওষখাইনি আল কুরাইশি। ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দরগাহ মাজার সংস্কার সংরক্ষণ কমিটির চেয়ারম্যান রাজনীতিবিদ মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা কাদেরী, এস.এম নেজাম উদ্দিন নেজাম, আহলে সুন্নাত নেতা মাওলানা মাসুদ হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা শরফুদ্দীন আকবরী, শায়ের মাওলানা মুহাম্মদ মাসুমুর রশিদ কাদেরী, বরুণ কুমার আচার্য বলায়, সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, কাযী মুহাম্মদ আরাফাত, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, নাজিম উদ্দিন নাজুম প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি সমৃদ্ধি কল্যাণ এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানবতার নাজাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন গোলামে খাজা শেরে বাংলা (রহ.) মাওলানা মুহাম্মদ মুছা কাদেরী।